রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: টানা তিন দিনের ছুটিতে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় পর্যটক অর্থাৎ ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নেমেছে। কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের রুম বুকিং হয়ে গেছে। টানা ৩ দিনের ছুটির কারণে পর্যটকের এমন উপস্থিতি হয়েছে বলে মনে করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ। তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে টানা ৩ দিনের ছুটি।
বৃহস্পতিবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে সরকারি ছুটি এবং পরের দিন শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট তিনদিন ছুটি হওয়ায় পর্যটকদের দৃষ্টি এখন সাগর সৈকত কুয়াকাটায়। এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিছুদিন তীব্র গরমে জনজীবন স্থবির ছিল, তাই পর্যটকরা ঘর থেকে বের হননি। এখন গরম কিছুটা কমে যাওয়ায় এবং সরকারি ছুটি একটু বেশি হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে মনে করছেন টুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা কুয়াকাটার আশপাশে দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য ছুটছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লীতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এছাড়া রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার, ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুঁটকিপল্লী, ইলিশপার্কসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান।
যশোর থেকে আসা পর্যটক সোহাগ (৩৪) বলেন, আগের থেকে কুয়াকাটা সৈকতের পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। সৈকতের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বারবার আসি কুয়াকাটায়। রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মোসা. জান্নাত আরা নুরী বলেন, সমুদ্রের বিশালতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ঢেউ, বালু আর পানি সব মিলিয়ে একটা দারুণ পরিবেশ, যা অনেকদিন মনে থাকবে।