সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অর্ধকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ভিপি আনোয়ারের বিরুদ্ধে।
২০১০ সালে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বরিশালের অন্যতম প্রাচীন গার্লস স্কুল জগদীশ সারস্বত স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ভিপি আনোয়ার। তারপর বে-আইনিভাবে নির্বাহী কমিটি গঠন করে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রেখে চুক্তিভিত্তিক ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেন।তাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার অধিক টাকা নেন ৫ বছরের জন্য নিয়োগের কথা বলে এবং সে টাকা আত্মসাৎ করেন।স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের ১৮ মাসের বেতন বন্ধ রাখেন।পরবর্তীতে বেতনের ৩/১ অংশ তাকে দেবার চুক্তিতে বেতন বইতে সই করেন। স্কুুলের বেঞ্চ নির্মান,ভবন রং করন,বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান,মাঠে বালু ভরাট,স্কুলের মালামাল ক্রয় সহ বিভিন্ন উন্নয়নের নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।সেগুলোতে বাধা প্রদান করায় তৎকালীন প্রধান শিক্ষকের নামে মিথ্যে হয়রানীমূলক মামলা দাযের করেন।পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক মহোদয় স্টোক করে মারা যান।বর্তমানে স্কুলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বরিশালে জেলা প্রশাসক।কিন্তু জেলা প্রশসককে বাদ দিয়ে তাকে পুনরায় সভাপতি করার জন্য স্কুলের বর্তমান শিক্ষকদের বিভিন্নরকম চাপ প্রয়োগ ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।ভিপি আনোয়ারের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
এর পূর্বে তার বিরুদ্ধে বিকাশ মাল্টিপারপাস এর নামে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বরিশাল সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের উপরে হামলা,ইসলামিয়া কলেজের গভার্নি বডিতে অনধিকার প্রবেশ করে অর্থ আত্মসাৎ, ল কলেজের গভার্নি বডিতে জোড় করে সভাপতি হওয়া ও অমৃত লাল দে কলেজের গভার্নি বডিতে রাজনৈতিক প্রভাব খানিয়ে ঢোকার অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি তার বাসভবনটিও সরকারি খাস জমিতে ভুয়া ডিগ্রি নেয়া।যেখানে ইংরেজ আমলে পোষ্ট কোয়াটার (পতিতালয়ের যায়গা ছিলো) নামে পরিচিত ছিলো অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
এসব তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিপি আনোয়ারকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।